সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় স্বামীর যৌতুকের দাবি পূরণ করতে না পারায় পারভীন নামের গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে । স্বামী নাঈম হোসেন তার স্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীদের প্রতিরোধের মুখে স্ত্রী পারভীন রক্ষা পেয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামে। পারভীন বানিয়াকৈড় গ্রামের মৃত গোলবার হোসেনের মেয়ে। গোলবার হোসেন পারভীনকে ২ বছর বয়সে রেখে মারা যান। বাবা মারা যাবার পর পারভীনের মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়। পরে চাচা সোলায়মান হোসেন পারভীনকে প্রতিপালন করে বিয়ে দেন।
গৃহবধু পারভীন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, ৩ বছর আগে বাঙ্গালা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে নাঈম হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। নাঈম তার খালাতো ভাই। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ১ লাখ টাকা ও ৮ আনা সোনার গহনা দেওয়া হয় তার স্বামীকে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবার পারভীন খাতুনের বাবার কিছু পরিমান জমি অতিরিক্ত যৌতুক হিসেবে স্বামীর নামে লিখে দেবার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। পারভীনের পরিবার থেকে এতে আপত্তি তোলায় মাঝে মাঝেই স্ত্রীকে অমানুষিক নিযার্তন করতো স্বামী নাঈম হোসেন।
এনিয়ে দাম্পত্য জীবনে তাদের মধ্যে চরম কলহ চলে আসছিল। ক’দিন ধরে নাঈম হোসেন তাদের দাবিকৃত জমির পরিবর্তে নগদ ১ লাখ টাকা বাড়তি যৌতুক হিসেবে দাবি করে পারভীন খাতুনের কাছে।
পারভীনের পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে নাঈম হোসেন শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী পারভীন খাতুনকে ধারালো চাকু দিয়ে নিজের শোবার ঘরে জবাই করার চেষ্টা করে। চাকু দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানেও আঘাত করা হয়। এতে গুরুতর আহত হন পারভীন। পারভীনের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে নাঈম পালিয়ে যায়। বর্তমানে পারভীন খাতুন স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে পারভীনের চাচা সোলায়মান হোসেন শুক্রবার দুপুরে উল্লাপাড়া থানায় নাঈম হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক আশরাফী খাতুন নিযার্তিত পারভীনের পক্ষ থেকে অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।