পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্নিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। লালুয়া ইউনিরয়নের এসব বানভাসী মানুষ ছুটে যাচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্রে সেই মুহুর্তে সানজিদা (২২) নামের এক গৃহবধু প্রসববেদনায় কাতরাতে থাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থকর্মীরা ছুটে যায় চান্দুপাড়া সকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের আশ্রয় কেন্দ্রে। সেখানে গৃহবধু প্রথমবারের মতো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তার এ সন্তানের নাম রাখা হয়েছে বেল্লাল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার থেকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে পানি প্রবেশ করে চান্দুপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়। এসময় গর্ভবতী স্ত্রী সানজিদাকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যান তার স্বামী নুর-আলম শরীফ। পরে বুধবার সকালে তার প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থকর্মীদের সহযোগীতায় তিনি প্রথমবারের মতো একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ্য রয়েছে।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি মা ছেলে দুজনই সুস্থ্য আছে। ওদের ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ওরা এখনও ওই আশ্রয় কেন্দ্রেই রয়েছে। তবে আমি সারাক্ষন তাদের খোজ খবর রাখছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিনময় হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পর স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর সহযোগীতায় স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসাব করানো হয়েছে। এখন মা ছেলে খুব ভালো আছে। দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রতিমূহুর্তে মা এবং বাচ্চার খোজ খবর নিচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।