বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

তাড়াশের নাদোসৈয়দপুরে ছেলে-মায়ের ঘর পুড়িয়ে দিল-ভোরের কণ্ঠ।

মোঃ শাহিনুর রহমান, তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি। / ৬৩১ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৬ মে, ২০২১

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে  নিজের ছেলে হয়ে মায়ের ঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। ২৪ মে সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর গ্রামের নদীপাড়া চাদের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে বিধবা মা রেহানা বেগম মৃত ইব্রাহীমের স্ত্রী একটা  টিনের ঘরে বসবাস করতেন। বড় ছেলে আব্দুল মালেক পাশেই একটা ঘরে ও ছোট ছেলে নিজাম উদ্দিন অন্য এক গ্রামে বাস করেন।

তার বড় ছেলে আব্দুল মালেক ,মালেকের স্ত্রী নাছিমা খাতুন ও নাতনী একই গ্রামের হাফিজুরের স্ত্রী নাইমা খাতুন  বিধমা মার এক টুকরো ভিটে মাটি নিজ নামে লিখে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে জ্বালা যন্ত্রনা করে আসছিল।

এক পর্যায়ে ৩/৪দিন আগে তার মাকে পরিবারের সকলে মিলে নির্যাতন করলে ছোট ছেলে নিজাম উদ্দিন তার মাকে নিজ বাসস্থানে নিয়ে যান। এদিকে সন্ধ্যায় সুযোগ বুঝে আব্দুল মালেক, তার স্ত্রী নাছিমা খাতুন ও মেয়ে একই গ্রামের হাফিজুরের স্ত্রী নাইমা খাতুন বিধবা মা রেহানা বেগমের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহর্তেই আগুনের অগ্নি শিখা দম দম করে উঠলে পার্শবর্তী  লোকজন এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। ওই সময় আকাশে বৃষ্টি থাকায় ও জনগনের আপ্রান চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করলেও পার্শ্ববতী ঘর গুলোর কিছুটা ক্ষতি হয়। নইলে এলাকা জুড়ে এক বিশাল ক্ষতি হওয়ায় সম্ভবনা ছিলো।

আগুন পুড়ে বিধবা মা’র ধান,চাল,আসবাবপত্র ও নগদ ১ লাখ ১২হাজার টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে বিধবা মা রেহানা বেগম তাড়াশ থানায় অভিযোগ করেছেন ।

বিধবা মা রেহানা বেগম বলেন, ছেলে, ছেলের বউ ও নাতনী’র অত্যাচারে আমার ছোট ছেলের বাড়িতে গেছি। কিছুক্ষণ পর শুনি  আমার একমাত্র থাকার ঘর আগুনে পুড়ে ছাই করে গেছে । আমার কুলখানীর জন্য নগদ ১ লাখ ১২হাজার টাকা রেখে দিছিলাম তাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি এর বিচার চাই।

প্রতিবেশী ঘরের বাসিন্দা মৃত মুছা প্রামানিকের স্ত্রী জয়নব খাতুন বলেন, ওরা মা ছেলে মারামারি করবি করুক। মায়ের ঘরে আগুন দিবি দিক কিন্তু আমার ঘরের যে ক্ষতি হলো তার দায়ভার কে নিবে। আমি এদের বিচার চাই।

এ বিষয়ে আব্দুল মালেকের সাক্ষাত না পাওয়ায় তার স্ত্রী নাছিমা খাতুন বলেন, আমার শ্বাশুরীর ঘর পুড়ে গেছে এটা সত্য কথা তবে আমরা আগুন দেয নাই। আমার ঘর আর আমার শ্বাশুরীর ঘর এক সাথে লাগানো আছে। তার ঘরে আগুন দিলে তো আমার ঘর পুড়ে যাবে। তাই কোন বিবেকবান মানুষ আগুন দিবে না। তবে কি ভাবে আগুন লাগছে আমরা জানি না।

এ ব্যাপারে মাগুড়া বিনোদ ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে শুনেছি । সেখানে গিয়ে উভয়কে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর