সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ১২ টি ইউনিয়নের এমএইচভিদের নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার নিরসন হয়েছে। রবিবার (২২মে) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত ৩৪৬ এমএইচভি সম্মানীভাতা ৫% কর্তনের বিপরীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
সোমবার (২৪ মে) দুপুরের পর থেকে ভাতা নিতে শুরু করেছেন। কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২ ইউনিয়নের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কাজের গতি আনতে এমএইচভিদের ২০১৯ সালে নিয়োগ দেয়া হয়।
নিয়োগকালিন শর্ত মোতাবেক এই স্বেচ্ছাসেবকগণ একটি নির্দিষ্ট আ্যাপস ব্যবহার করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ৩৬ প্রকারের কাজ করার কথা। প্রতিটি কাজে আলাদাভাবে সম্মানীভাতা পাবেন।
এদিকে এমএইচভিগণ জানান, নিয়োগের পর থেকে অ্যাপস ঠিকমতো সচল থাকে না। এই অযুহাতে অনেকেই নিয়মিত ক্লিনিকে যান না। কিন্তু তাদের প্রাপ্ত ভাতাদি ঠিকই তুলে নেন।
সম্প্রতি এমএইচভিদের গত পাঁচ মাসের সম্মানীভাতার চেক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ও অন্যান্য উপজেলার সাথে মিল রেখে আয়কর কেটে প্রত্যেকের প্রাপ্ত মোট ভাতার শতকরা ৫% হারে রেখে বিল দেবার ঘোষণা দেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ভলান্টিয়ারগণ। এক পর্যায়ে তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ি ঘেরাও করে রেখে চিৎকার শুরু করেন। এরপর তারা মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট যান।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী তাদের নিয়মানুযায়ী সম্মানী ভাতা নেবার পরামর্শ দিলে তারা চলে যান। সোমবার (২৪ মে) দুপুরে সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ ভলান্টিয়ার কর্তন মেনে নিয়ে সম্মানীভাতা নিচ্ছেন। এসময় হাটশিরা কমিউনিটি ক্লিনিকের ভলান্টিয়ার মিলন মিয়া জানান, আমরা জানতাম না এটি সরকারী নির্দেশনা। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন পারুল জানান, ‘এদের অনেকে ঠিকমতো কাজই করে না। নিয়ম অনুযায়ী তাদের এ্যাপসের মাধ্যমে কাজ করে বিল নেওয়ার কথা কিন্তু তারা করেন না। কেউ কেউ এলাকার বাইরেও থাকেন বলে জানতে পেরেছি। তদুপরি নির্দেশ না মেনে হট্টগোল করেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে এখন কোন সমস্যা নেই।