সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জনগন প্রতিবাদ সভা করেছেন। সোমবার সকালে হাসপাতালের ভিতরে উপজেলার তাড়াশ পৌর সভার ভাদাশ ৫ নং ওয়ার্ড’র জনগন উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জামাল মিয়া শোভনের বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদ সভা করে। জানা যায়, ভাদাশ গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম,সহ-সভাপতি সুলতাল মাহমুদ ,সাবেক সভাপতি আব্দুস সাত্তার,মাধইনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি শিশির আহম্মেদ,সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ও কৃষকলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম গরমে সহ্য করতে না পেরে হাসপাতালের ভিতরে গাছের ছায়ায় বসে পারিবািরক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ছিলেন।
এমন সময় উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জামাল মিয়া শোভন প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তাদেরকে বলেন আপনারা এখানে কি করছেন। সরকারী বিরোধী কোন আলোচনা করছেন না হাসপতালের ক্ষতি হয় এমন কিছু করছেন। যান বাহিরে যান। আপনারা আসার কারনেই তো হাসপাতালের ভিতর থেকে অনেক কিছু হারিয়ে যায়। স্বাস্থ বিধি না মেনে এখানে বসে আছেন যান বাহিরে যান। তখন তারা বলেন আপনি ভদ্র ভাবে বললেই তো চলে যেতাম। আপনি কেন উত্তেজিত হয়ে আমাদের সাথে কথা বলছেন।
এর আগেও তো এখানে বসে কথা বলেছি, কেউ বাধা দেয় নি। এর মধ্যে একজন বলেন স্যার এই জায়গা জমি তো আমার বাপ দাদার সম্পত্তি। এ কথা শুনে স্বাস্থ কর্মকর্তা বলেন তোর বাপ দাদার সম্পত্তি হলে দলিল নিয়ে আয় আমি টাকা দিয়ে দিবো। পরে তারা দলীয় নেতা কমর্ীদের ফোন করে বিষয়টি জানালে তারা কর্মকর্তার অফিস কক্ষে বসে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বলেন আবাসিক এলাকার মধ্যে বাহিরের লোকজন প্রবেশ নিষেদ। তাই তাদেরকে মানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাদাশ গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা হাসপাতালের মধ্যে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ছিলাম এমর সময় ওই কর্মকর্তা এসে আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাদেরকে বের হয়ে যেতে বলেন। আমি অনুরোধ করার পরেও সে গরম দেখিয়ে বলেন আপনাদের নামে লুটপাটের মামলা দিবো।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, একজন অফিসার ও ভাল মানের ডাক্তারের মুখে এ রকম ভাষা শুনে মনে হলো যারা লেখাপড়া জানে না তারাই ভাল। এ আসার পর থেকেই সাধারণ জনগনের সাথে নানা বাক বিতন্ড হয়েছে। যা আগে কোন দিন হয়নি।
ওয়ার্ড কৃষকলীগের সভাপতি খাইরুল ইসলাম বলেন, এই কর্মকর্তার মুখের ভাষা এত খারাপ জানা ছিল না। হাসপাতালের প্রধানের মুখে এ রকম ভাষা শুনে আমরা মর্মাহত। তাই অতিবিলম্বে এই কর্তকর্তার বদলী না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জামাল মিয়া শোভন বলেন, আমি তাদেরকে কোন খারাপ কথা বলিনি। আবাসিক এলাকার মধ্যে বাহিরের লোকজন ঢুকে গেদারিং দেওয়াটা শোভনীয় নয়। তাই হাসপাতালের প্রধান হিসেবে এটা আমার দায়িত্ব থেকে তাদেরকে ভালভাবে বলে বাহিরে যেতে বলেছি।
ঘটনাটি স্থানীয় সংসদ সদস্য কে জানালে তিনি বলেন,বিয়টি আমি দেখছি।