উল্লাপাড়ার সড়াতৈল-আমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের এখন বেহাল অবস্থা। বৃষ্টি হলেই এই সড়কের সড়াতৈল উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে আধা কিলোমিটার অংশ এক হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। কাঁচা এই সড়কে তখন চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। পানি বের হবার কোন ব্যবস্থা না থাকায় বেশ কয়েকদিন স্থায়ী থাকে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি বেশিদিন থাকলে কয়েক মাস জলাবদ্ধ থাকে এই আঞ্চলিক সড়ক। ফলে সড়াতৈল এলাকার লোকজনকে চরম দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে এই রাস্তায় চলাচলে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, উক্ত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বড়হর ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অনেকবার আবেদন জানালেও তা কোন কাজে আসেনি। দুথবছর আগে সড়াতৈল গ্রামের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে এই রাস্তায় কিছুটা মাটি ফেলেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী বছরের বন্যায় সেসব মাটি দুয়ে মুছে গেছে। ফলে এই রাস্তাটি আবারো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে প্রায় চার মাস রাস্তাটির সড়ালৈ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় ও সড়াতৈল মাদ্রাসার পাশে অর্ধ কিলোমিটার অংশ হাঁটু পানিতে ডুবে থাকে। রাস্তার মাঝে সৃষ্টি হয় অসংখ্য গর্তের। এসময় কোন প্রকার যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে মানুষের চলাচল দুরুহ হয়ে পড়ে। অথচ এই রাস্তা দিয়ে উল্লিখিত দুথটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সড়াতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সড়াতৈল বাজারে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। বৃষ্টির দিনে চরম দুভোর্গ সইতে হয় পথচারীদেরকে।
সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার জানান, বিশেষ করে বর্ষা বৃষ্টির দিনে এখানকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিশু কিশোর শিক্ষার্থীদেরকে এক হাঁটু পানি মারিয়ে এই রাস্তায় চলতে চরম দুভোর্গ পোহাতে হয়। অনেক দিনই শিক্ষার্থীরা পড়ে গিয়ে বই পুস্তক কাপড় চোপড় ভিজিয়ে ফেলে। সড়াতৈল বাজারের দোকানীদেরকে ভ্যান রিকশায় মালামাল পরিবহন করতে নিদারুণ কষ্ট সইতে হয়। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক নান্নুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সড়াতৈল আমডাঙ্গা আঞ্চলিক সড়কের দুদর্শার কথা স্বীকার করে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ তহবিলে প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় ওই রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আগামী অর্থবছরে এই রাস্তাটি প্রয়োজনীয় উঁচু করে সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।