দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লকডাউনের মধ্যে জাতীয় উদ্যানে হাজার হাজার দর্শণার্থীদের সমাগম। সামাজিক দুরত্ব উপেক্ষা করে স্বাস্থ্য ঝুকিতে ফেলছে স্থানীয় একটি মহল।
কোভিড ১৯ এর বিস্তার রোধে সারা দেশে যখন পর্যটন কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে সেখানে জাতীয় উদ্যান আশুড়ার বিলে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে ও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটেছে। চলছে অবৈধ লটারীও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঈদের দিন সকাল ১০টার পর থেকে মটর সাইকেল, মাইক্রোবাস, অটোটেম্পু প্রাইভেট কার, ভ্যানযোগে আশুড়ার বিলের কাঠের ব্রীজ দেখতে আসতে শুরু করে হাজার হাজার দর্শনার্থী। জনসাধারনের সমাগমে রাস্তাগুলিতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বেশির ভাগ মানুষের মুখে ছিলনা কোন মাস্ক। স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে গাদাগাদি করে চলতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের। এ দিকে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে আশুড়ার বিলপাড়ে বসানো হয়েছে মনোহারী ও খাবারের দোকান, বিনোদনের জন্য বসানো হয়েছে নাগরদোলা, যানবহন রাখার জন্য বড় মাপের স্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক ইয়ামীন সরকার জানান- একটি মহল স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে লোক সমাগমের আয়োজন করেছে। প্রত্যেক যানবহন থেকে নেওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ১’শ টাকা পর্যন্ত এবং প্রতিটি দোকান টোল আদায় করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে ঐ মহলটি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহজাহান আলী জানান- বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। লোকের সমাগম করোনার মারাত্বক ঝুঁকিতে ফেলতে পারে উপজেলার জনসাধারনকে।
নবাবগঞ্জ বিট কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল ইসলাম জানান- সরকারি নির্দেশ মোতাবেক নবাবগঞ্জ জাতীয় উদ্যান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। প্রতিটি প্রবেশ পথে বাঁশ টাঙ্গানো ছিল যা ভেঙ্গে দর্শনাথীরা প্রবেশ করেছে।
বিরামপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার জানান- জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ দ্বারগুলি বন্ধ থাকার পরেও জাতীয় উদ্যানের সীমানা বেষ্টনী না থাকায় বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে জন সাধারণ জাতীয় উদ্যানে প্রবেশ করেছে। দোকান ও গ্যারেজের বিষয়ে তিনি জানান- একটি মহল বনবিভাগের অনুমতি ছাড়া জোর করে গ্যারেজ ও দোকান বসিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার জানান- জাতীয় উদ্যান বন্ধ রাখার জন্য বনবিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।