লক্ষীপুর রামগঞ্জে হিন্দুসম্প্রদায়ের ঠাকুরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার ১৪ মে বিকেলে পুর্ব চন্ডিপুর ঠাকুর বাড়ির পুকুর পাড় থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঠাকুর বিমলেন্দ্র চক্রবর্তি প্রকাশ মন্টু ঠাকুরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করার সময় তার পড়নে লুঙ্গিতে মোড়ানো একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। পুলিশ নিহতের ভাইয়ের পুত্র রঞ্জন চক্রবর্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে ইউডি মামলা রুজু করে শনিবার সকালে লাশ ময়না তদন্ত করতে জেলার সদর মর্গে প্রেরন করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানায়,রামগঞ্জ উপজেলার পুর্ব চন্ডিপুর গ্রামের ঠাকুর বাড়ির ওয়াকর্ফ সম্পত্তিতে মন্টু ঠাকুর এবং তার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করতো। স্থানীয় একটি দুস্ট চক্র তাদের ওই বাড়ির থেকে উচ্ছেদ করতে বসতঘরে অগ্নিসংযোগ ও দফায় দফা মারধর করে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে মন্টু ঠাকুরের স্ত্রী-সন্তান,ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী এলাকা ছেড়ে অন্যত্বে বসবাস করছে। গ্রামের ঝুমুর সহ কয়েকজন বলেন,বিগত এক বছর যাবত মন্টু ঠাকুর বাড়িতে একা বসবাস করছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় দীঘিতে গোসল করে বাড়িতে ফিরে এবং বেলা ১টার দিকে বাড়ির পশ্চিমে পুকুর পাশে কাঠাল গাছে লাশ ঝুলতে দেখা যায়।
গ্রামবাসীরা জানান,ঠাকুর বাড়ির ওয়াকর্ফ সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় আব্দুর রশিদ মোল্লাসহ কয়েকজনের সাথে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত মামলা চলে আসছে। লাশ উদ্ধার করার সময় উপস্থিত থাকায় রামগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত কার্তিক চন্দ্র বলেন,আমরা কিছু আলামত জব্দ করেছি। তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
রামগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন,পুলিশ লাশ উদ্ধার করার পর বার বার খবর দেওয়ার পরেও নিহতের সন্ত্রান উপস্থিত হয়নি। লাশ ময়ন্ত তদন্ত করতে লক্ষীপুর জেলার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।