পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে রাতের আধারে রাস্তার পাশের গাছ কেঁটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৮ মে) আনুমানিক রাত বারোটার দিকে স্থানীয় লোন্দা গ্রামের মৃত্যু রাজ্জাক মৃধার ছেলে তুহিন মৃধা তার লোকজন নিয়ে এ গাছ কেটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা খেয়াঘাট হতে কলেজ বাজার যাওয়ার রাস্তার দু-পাশে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছ রয়েছে। গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন থাকলেও স্থানীয় যার যার সীমানার গাছ তারাই দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। ঘটনার রাতে স্থানীয় হানিফ পঞ্চায়েত বাড়ির সামনের তিনটি বড় বড় সাইজের মেহগনি গাছ তুহিন মৃধা তার লোকজন নিয়ে রাতের আধারে কেঁটে নেয়। জানা যায়, ঐ গাছগুলো হানিফ পঞ্চায়েতের মা মোসা. চান বরু গত ২০ থেকে ২৫ বছর আগে লাগিয়েছিল। রাতের আধারে লোকজনের অগোচরে ঐ গাছগুলো কেঁটে নেয়ায় স্থানীয়দের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। হানিফ পঞ্চায়েতের মা ষাটোর্ধ চান বরু বলেন, আজ হতে ২০-২৫ বছর আগে এ গাছগুলো আমি নিজের হাতে লাগিয়েছিলাম। কিন্তু এগুলো এভাবে রাতের আধারে কেঁটে নেয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছি। এগুলোতে আমাদের হক রয়েছে। কিন্তু তুহিন মৃধা গায়ের জোরে সেগুলো কেঁটে নিয়েছে। আমরা তার ভয়েও কিছু বলতে পারছি না।
তুহিন মৃধার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মসজিদের জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের সম্মতিতে গাছগুলো কেঁটেছি। তিনি সংবাদকর্মীদের এনিয়ে নিউজ না করে চা খাওয়ার জন্য টাকা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে ধানখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. রিয়াজ তালুকদার বলেন, অন্যের বাড়ির সামনের গাছ তাদের অনুমতি ছাড়া তুহিন মৃধাকে আমি কাঁটতে বলিনি। এখন যাদের বাড়ির সামনের গাছ তাদের ওর বিরুদ্ধে মামলা করতে বলেন।