রাজশাহী(তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধূরীর নির্দেশ এবং রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনের (বিপিএম) (বার) দিকনির্দেশনায় ঈদকে ঘিরে তানোর থানা পুলিশ জঙ্গিবাদ, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করতে ব্যাপক নিরাপত্তায় ঢেকেছেন তানোর থানা। এতে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে জনমনে ব্যাপক সস্তি বিরাজ করছে।
তানোর থানা পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযানে অন্যদের কাছে অনুকরণীয় বা মডেল হয়ে উঠেছে। তানোরে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা ও বিপুল আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এদিকে পুলিশের অধিকাংশ মাদকবিরোধী অভিযান সফল হওয়ায় মাদকদ্রব্যর ব্যবহার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানা গেছে, তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান রাকিব তানোর থানায় যোগদান করার পরপরই তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা দিয়ে ও নিজে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন। আর পুলিশের মাদকবিরোধী জোরদার অভিযানে মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের তটস্থ অবস্থা।
দীর্ঘদিন পর মাদকের প্রায় সব ঘাঁটি তছনছ, এখন এরা পালাতে পারলে বাঁচে। তানোরে মাদক বিক্রেতা, সেবী ও যোগানদাতাদের কাছে এখন মূর্তিমান আতঙ্ক ওসি রাকিব।। এদিকে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে পরম স্বস্তি এসেছে এলাকার সাধারণ মানুষ ও অভিভাবকদের মধ্যে। বিদ্যমান আইনের মাধ্যমে প্রশাসন সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে এলে ও সাধারণের সহযোগীতা পেলে যে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায় তার বাস্তব প্রমাণ দিচ্ছে তানোর থানা পুলিশ। ওসি রাকিব মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার অধিনস্ত কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, সমাজে শান্তি–শৃংঋলা স্বভাবিক রাখতে মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের রাজনৈতিক পরিচয় যায় হোক তাঁদের আইনের আওতায় নিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। থানা পুলিশ এলাকার জনসাধারণের সহযোগীতায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় মাদকের ঘাঁটিগুলোতে হানা দিয়ে মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের হাতেনাতে আটক করে কখানো ভ্রাম্যমান আদালত এবং কখানো আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করছে।
ফলে এরা সহজে জামিন পাবার সুযোগও পাচ্ছে না।এভাবে মাদকদ্রব্য বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার বিষয়টি রাজশাহীতে মডেলে পরিণত করা গেছে।রাজশাহীর বিভিন্ন থানায় এমন অভিযান শুরু হয়েছে। তানোরে এক সময় চোলাইমদ, গাঁজা, হেরোইন, ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ছেয়ে গিয়েছিলো এলাকা। উপজেলা মাসিক আইনশৃংঋলা বিষয়ক সভায় মাদকের থাবা কি করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা ছিল বড় পয়েন্ট। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনও মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলো। ওদিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ দফতরের ভূমিকা ছিলো ‘ঠুঁটো জগন্নাথেরথ মতো। কিন্তু পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে মাদকসম্রাট ও মাদকসম্রাজ্ঞীসহ একাধিক মাদকসেবী ও বিক্রেতাকে গ্রেফতার জেলহাজতে প্রেরণ করায় মাদকদ্রব্য অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা ও মাদকসেবীদের উপদ্রব কমেছে। ফলে এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
অপরদিকে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে এলাকার সুশিল সমাজসহ অভিবাবকদের মধ্যে পরম স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত রাখার দাবী করেছেন। এদিকে করোনা প্রতিরোধে পুলিশের প্রচার-প্রচারণা ও মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার, খাবার ইত্যাদি বিতরণ এবং ঈদ সামনে রেখে রমজান মাসব্যাপী পুলিশের নিরাপত্তা মহড়া সর্ব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, সমাজে সকল অপরাধের মূলে রয়েছে মাদক। তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে তারা জিরো ট্রলারেন্স অবস্থানে রয়েছেন। তিনি বলেন, পুলিশের জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকবিরোধী অভিযান আগামি দিনেও অব্যাহত থাকবে।