দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা ও কৃষকের উপস্থিতি ছাড়াই দায়সারা গোছে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে উপজেলার ১ হাজার কৃষকের ভাগ্য।
রবিবার ৯ মে সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আগ্রহী ৪ হাজার ৩৭২ জন কৃষকের তালিকা থেকে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ১ হাজার কৃষকের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হালিমুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জু রায় চৌধুরী।
উন্মুক্ত লটারি উপলক্ষে করা হয়নি কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা। আয়োজিত লটারিতে ছিল না কোন কৃষকের উপস্থিতি।
অনুষ্ঠানে সামনের সারিতে উপস্থিত অতিথিরা থাকলেও কৃষকদের জন্য আসনে শুধুমাত্র সাংবাদিকদের উপস্থিতি ছিল। কোন প্রকার বক্তব্য না রেখেই সরাসরি লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও গত বছরের পুরোনো ব্যানারেই কাগজ সাটিয়ে তারিখ ও সাল পরিবর্তন করে দায়সারা গোছে করা হয়েছে উন্মুক্ত লটারি।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. হালিমুর রহমান বলেন, আমরা প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছি কিন্তু কোন কৃষক কেনো যে উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠানে আসলেন না তা আমরা বুঝতে পারছিনা। তাই কৃষকের উপস্থিতি ছাড়াই লটারি করা হয়েছে। উপজেলার পৌরসভাসহ সাতটি ইউনিয়নের ৪ হাজার ৩৭২ জনের আবেদনের মধ্যে থেকে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ১ হাজার কৃষকের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রতি কৃষকের কাছ থেকে দুই মেট্রিকটন করে মোট এক হাজার ৯৯৮ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হবে।
এবিষয়ে উন্মুক্ত লটারিতে উপস্থিত প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিল্টন বলেন, উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত আছি। এখানে কারচুপির কোন সুযোগ নাই।