শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

সড়কের উপর ধান মাড়াই,ঝুকি নিয়ে চলাচল, ঘটছে দুর্ঘটনা-ভোরের কণ্ঠ।

মোঃ মেহেদী হাসান উজ্জ্বল ফুলবাড়ি(দিনাজপুর)প্রতিনিধি / ৬৪৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী-মধ্যপাড়া-রংপুর মহাসড়কটি এখন কৃষকদের ধান-ভূট্টা মাড়াই ও খড় শুকানোর চাতালে পরিণত হয়েছে। সড়কের ওপর ধান ও খড়ের পালা। সারাক্ষণ চলছে ধান ও ভুট্টার মাড়াইয়ের কাজ। সড়ক জুড়ে শুকানো হচ্ছে ভূট্টা, ধান ও খড়।

এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা ও হতাহতের ঘটনা। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে টেম্পো, অটো রিকশা, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল আরোহীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ,প্রতি বছর ভূট্টা ও বোরো মৌসুম সড়কটি দখলে থাকে সড়কের আশপাশের গ্রামের কৃষকদের । সড়কটির ফুলবাড়ী থেকে মধ্যপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে গত বছর ১৫ থেকে ২০ জন দুর্ঘটনায় হতাহতের শিকার হয়েছেন। এ বছর ১৭টি দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।

সরেজমিন, ফুলবাড়ী থেকে মধ্যপাড়া পর্যন্ত অন্তত ১৫ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে দলদলিয়া ডাঙ্গাপাড়া, মহেষপুর, তেতুলিয়া, চিলাপাড়া, ভাগলপুর, ভালকা জয়পুর, মহিষবাতান, রসুলপুরসহ প্রায় ১০ গ্রামের কৃষকেরা পুরো সড়কটি দখলে নিয়ে মাঠ থেকে ধান কেটে মহাসড়কের ওপর পালা করে যন্ত্র দিয়ে ধান মাড়াই করছেন। ধান মাড়াই শেষে সড়ক জুড়ে ধান ও খড় শুকানো হচ্ছে। এতে বিশাল প্রশস্তের মহাসড়কটি এখন সরু সড়কে পরিণত হওয়ায় সেই সরু সড়কের ফাঁক ফোঁকড় দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে ছোটবড় যানবাহন। তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বড় যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ায় এই হতাহতের সংখ্যা অনেক কম।

কয়েকজন কৃষক বলেন আগের মতো আর ফাঁকা জায়গায় না থাকায় কাছেই বড় সড়ক রয়েছে তাই ধান ফেলে না রেখে সড়কে মাড়াই করে শুকিয়ে নিচ্ছেন।

মোটরসাইকেল আরোহি ও ট্রাকচালকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, সড়কটিতে ধান কাটা মাড়াই মৌসুমে ধান মাড়াই ও খড় শুখানোর কারনে  প্রচুর ঝুঁকিয়ে নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। মাঝে মধ্যে ছোট-বড়ো দুর্ঘটনা ঘটছে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বললে বড়পুকুরিয়া পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ মো: সুলতান মাহমুদ বলেন, বার বার নিষেধ করার পরেও তারা কথা মানছেন না, তবে বিষয়টি নিয়ে শিঘ্রই আবারো ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর