মাত্রা অতিরিক্ত গরম এবং রমজান উপলক্ষে তরমুজের চাহিদা থাকায় এটাকে পুঁজি করে লক্ষীপুর জেলায় কিছু অসাধু তরমুজ ব্যাবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তরমুজের দাম বাড়িয়েছে দ্বিগুন, বিপাকে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরমুজের এত আকাশচুম্বী দাম হওয়ায় নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের তরমুজ কেনার ইচ্ছা থাকলেও তা ক্রয় করা যেনো তাদের সাধ্যের বাইরে।
তবে ইতিমধ্যে তরমুজের অতিরিক্ত দাম ও অসাধু ব্যাবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এবং তরমুজ না কেনার ঘোষণা ঝড় উঠেছে লক্ষীপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লক্ষীপুর তরমুজের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি এবং কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের রুখতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে (সোশ্যাল মিডিয়ায়) তরমুজ না কেনার ঘোষণা দিয়েছেন অনেকে। গত কয়েকদিন ধরে লক্ষীপুরে বিভিন্ন জনের ফেসবুক ওয়ালে তরমুজ না কেনার ঘোষণা দিয়ে এসব প্রতিবাদী পোস্ট করতে দেখা গেছে।
জানা যায়,প্রচন্ড তাপদাহ এবং পবিত্র রমজান মাসকে পুঁজি করে কিছু অসাধু খুচরা তরমুজ বিক্রেতারা ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে তরমুজ বিক্রি করে আসছে। এ নিয়ে লক্ষীপুরের স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় কয়েকটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন মাঠে নামলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের চোখকে আরাল করে নীরবেই তরমুজের সিন্ডিকেট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রশাসন যখন মাঠে নামে তখন তারা জানান, কেজিতে নয়, তারা পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু যখন প্রশাসন চলে যায়, তখন তারা সে পূর্বের মতোই ৭০/৮০ টাকা দরে কেজি বিক্রি করতে দেখাযায়। অনেকে কেজি দরে বিক্রি না করলেও একটি তরমুজ কেজির হিসাব করে যত টাকা মূল্য আসে, সেই মূল্য অনুযায়ীই দাম চেয়ে তারা ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মূল্য আদায় করছেন। পুরো রমজানের শুরু থেকে এসব ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ ক্রয় করলেও তারা কেজি হিসেবে চড়া দামে তরমুজ বিক্রি করে আসছে।
এজন্য এসব সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের রুখতে অনেককে প্রতিবাদী হয়ে এবছর তরমুজ না কিনার ঘোষণা দিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে যার যার ফেসবুকে পোস্ট করতে দেখা যায়।