সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অজ্ঞান অবস্থায় ৭জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুড়িয়া চৌরাস্তায় (হাটিকুমরুল বনপাড়া মহাসড়ক সংলগ্ন) নামক স্থানে অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকা ৭জনকে উদ্ধার করে হাইওয়ে থানার পুলিশ দল। হাইওয়ে থানার এস আই আবু নাইম মোঃ জিহাদ উদ্দিন ও এ এস আই শরিফুল ইসলাম তার দলীয় পুলিশ সদস দের সাথে নিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক সেবা দিয়ে সুস্থ করেন। পরে ৭জনকেই খাবার দিয়ে শক্তি ফেরানোর চেষ্টা করেন। জানা যায় অজ্ঞান ব্যক্তিরা হলেন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার ঘন শ্যামপুর গ্রামের গোলাম মুর্তজার ছেলে হায়াতুজ্জামান (২৫),কলিপুর গ্রামের মাসুদের ছেলে মামুন (২৮), শামছুজ্জামানের ছেলে হামিদুর (৩৫,) ডি গ্রামের মইদুলের ছেলে মানিক, চাপাই নওয়াবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার গোসাইবাড়ী গ্রামের সহবুলের ছেলে ওয়াশীম (৩০),নাচোল উপজেলার টাগহারা গ্রামের দুলালের ছেলে সুজন(২৭) ও বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার হরিখালী গ্রামের ওয়াহেদের ছেলে রুহিত (২৪)। এদের মধ্যে হামিদুর বেশী আহত।
অচেতন ব্যক্তি হায়াতুজ্জামান জানান,তারা ঢাকা বিভিন্ন স্থানে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। লক ডাউন থাকায় তারা কাজ না করতে পেরে রোজা ও ঈদ উপলক্ষে বাড়ির আসবে বলে গাবতলী বাসষ্ঠান্ডে আসে। সেখানে কয়েকজন এক সাথে হলে তারা বাস না পেয়ে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাকে ৪শ টাকা করে ভাড়া মিটে উঠে পরে। রাস্তার মধ্যে ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভার সহ হেলপাররা খাওযা দাওয়া করে আবার গাড়ী ছাড়লে একজন মুরব্বী দাড়িওয়ালা লোক শ্রমিক পরিচয় দিয়ে প্রত্যেককে কেক ,কলা ও সেভেন অ্যাপ খাওয়ান। পরে আমরা ঘুমিয়ে যাই। এখন দেখছি আমাদের কাছে কোন টাকা নাই। এছাড়াও আমাদের পকেটে টার্স ফোন ছিল সে গুলোও নাই।
এব্যাপারে হাইওয়ে থানার এস আই আবু নাইম মোঃ জিহাদ উদ্দিন বলেন, আমরা এখানে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক সেবা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করেছি। ৭জনকেই শক্তি ফেরানোর জন্য খাবার দিয়ে চেষ্টা করেছি। তাদের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে । অভিভাবকরা আসলে তাদের হাতে ডকুমেন্ট রেখে দিয়ে দেওয়া হবে।