পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পবিত্র রমজান উপলক্ষে রোজাদারদের ইফতারিতে পানিয় তৃপ্তি মেটাতে মৌসুমী ফল তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও তা এখন সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। গরম এবং মৌসুম শেষ হওয়ায় এর দাম বেড়েছে। তবে ওজন ব্যতীত তরমুজ বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুম শেষ হওয়ায় অধিকাংশ কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ বিক্রি প্রায় শেষের পথে। ফলে হঠাৎ করে এর চাহিদা বেড়ে গেছে। অপরদেেিকে , প্রচন্ড গরম এবং রমজান চলমান থাকায় মানুষ ঝুঁকে পড়েছে তরমুজের দিকে। তবে বাজারে গিয়ে অনেক ক্রেতা হোচট খাচ্ছে তরমুজের দাম শুনে । ওজনে তরমুজ বিক্রির আগে ৫ কেজি একটি তরমুজের দাম ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকা । বর্তমানে ওজনে ৫০ টাকা কেজি দরে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় । এ ছাড়া ৮/ ১০ কেজি একটি তরমুজ ওজন ছাড়া আগে বিক্রি হতো ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা । যা এখন ওজনে বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় । এদিকে, ওজনে তরমুজ বিক্রি করা নিয়ে ক্রেতা -বিক্রেতার মধ্যে বাক-বিতন্ডা লেগেই আছে প্রতিদিন । এতে ক্রেতা -বিক্রেতারা উভয়ই বিপাকে পড়েছে ।
এ ব্যাপারে তরমুজ ক্রেতা মো.হায়দার গাজী জানান, রমজান বলে তরমুজ কিনেছে । তবে ওজনে জীবনে এই প্রথম কিনলাম ।
রহমান নামের এক ক্রেতা জানালেন, ১৫ দিন আগে, যে সাইজের তরমুজ ৮০ টাকায় কিনেছি, বর্তমানে ওজনে ৩০০ টাকায় কিনতে হয়েছে ।
এদিকে,বিক্রেতা মো.ফরিদ হোসেন জানান, ক্ষেতে যেহেতু তরমুজ নাই, আগের চেয়ে বেশী দামে কিনতে হচ্ছে । এতে ওজনে বিক্রি না করে আগের মত গোটা হিসেবে বিক্রি করলে আসল টাকা উঠবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অপর এক বিক্রেতা মো.জয়নাল হোসেন জানান, এক কৃষকের ক্ষেত কিনেছি আড়াই লাখ টাকায় , তাতে হিসেব করে দেখেছি, ওজন ছাড়া বিক্রি করলে অর্ধেক দামও পাওয়া যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন ।
এদিকে, ওজনে তরমুজ বিক্রি শুরু করায় তরমুজ প্রিয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । তারা অবিলম্বে ওজনে তরমুজ বিক্রি বন্ধের দাবি জানান।