রাজশাহীর তানোরে পুরোদমে ধুম পড়েছে বোরো ধান কাটার। এবার আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে সুষ্ঠু ভাবে বোরো ধান বাড়িতে তুলতে পারবে বলে কৃষক বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা শতভাগ দেখা যাচ্ছে। তবে এবার রমজার মাসের মধ্যে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হওয়ায় নতুন মাত্রায় যোগ হয়েছে শ্রমিক সংকট।
এতে করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বোরো চাষিরা। চাষিরা বলছেন, বর্তমানে পুরো উপজেলা জুড়ে বোরো ধান কাটা মাড়াই শুরু হলেও বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা তাদের বোর ধান কাটতে পারছেনা। ফলে,যেকোন সময় হঠাৎ আকাশে বৃষ্টির কারণে বোরো ধানের জমিতে পানি জমে বোরো ধানের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। এতে শুধু শ্রমিক সংকটে কৃষকরা তাদের পাকা বোরো ধান কাটতে না পারলে চাষিদের কষ্টের্জিত ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে সংস্কা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পুরো উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করা হয়েছে। আগাম বোরো ধান বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তা থেকে কাটা শুরু হয়েছে। কৃষকরা বোরো ধানের দিকে দৃষ্টি রাখছেন। কিন্তু শ্রমিক সংকট নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন।
তানোর পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের কৃষক মামুন জানান, তিনি এবার ৩৫,বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। তিনি ১৫বিঘা জমির ধান কেটে রেখেছেন, আরো ২০বিঘ জমির ধান শ্রমিক সংকটে কাটতে পারছেন না।
পৌর এলাকার চাপড়া গ্রামের আনসার আলী বলেন, আগাম বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে চিন্তায় আছি। ধান মাড়াইয়ের পর পাকা অবস্থায় আগাম বোরা ধান বিঘা প্রতি জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ মণ (পাকি) ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানান, আগাম বোরো ধান ভাল হয়েছে। তবে একদিনের ঝড়ের কারণে অনেক ধান পড়ে গেছে। তার পরেও ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।