বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ধর্ষিতার পরিবারের শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক ইউসুফ আলী(২৫)কে আটক করেন।
শিবগঞ্জ থানা মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের মেঘাখোর্দ্দ দক্ষিণপাড়া গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী নানার বাড়ি মোকামতলা ইউনিয়নের সাতআনা চাকলমা গ্রামে নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করত।
সাম্প্রতিক করোনার জন্য স্কুলবন্ধ থাকায় মেয়েটি তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর বাবার বাড়ি থেকে সে প্রাইভেট পড়ার জন্য যাতায়াত করে। এরই ধারাবাহিকতায় মেঘাখোর্দ্দ দক্ষিণপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের লম্পট ছেলে ইউসুফ আলী (২৫) স্কুল পড়ুয়া মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর রাতের অন্ধকারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই ভাবে বেশ কয়েক দিন ধর্ষণ করে।
মেয়েটি নিজের সতিত্ত হারিয়ে ইউসুফকে বিয়ের করার কথা বলায় তাল বাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে মেয়েটি বিষয়গুলো তার পরিবারকে খুলে বলে।
এ বিষয় নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান সোমবার রাতে ভিকটিম তার বাবাকে সাথে নিয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন।অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষক ইউসুফকে ওই রাতেই আটক করে।তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া করেন।