সাভার উপজেলা হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বাদশা মিয়া ( ২৬ ) কে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানার পুলিশ।
শনিবার ( ১৭ এপ্রিল ) সকাল ১১ টার সময় সাভার হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাভার আমিন বাজার নরসিংপুর বাদশা মিয়া তার নিজ বাড়িতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার জোর পূর্বক এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ৪/৪/২০২১ ( রবিবার ) ৯.৩০ মিনিটে সাভার মডেল থানায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ ধর্ষণ করার অপরাধের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং – ১৭।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন – মোঃবাদশা মিয়া ( ২৬ ), পিতা মৃত আব্দুল আলীম। নরসিংপুর এলাকার কলপাড়, রফিক মেম্বারের বাড়ির সংলগ্ন, আমিন বাজার।
মামলাসূত্রে তথ্যমতে জানা যায় যে- ধর্ষণকৃত ওই নারী পূর্বে সাভার মডেল থানাধীন হেমায়েতপুর সিঙ্গার ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতো। ধর্ষণকৃত বাদশা মিয়া ও মেয়েটি একই ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। এর সুবাদে দুজনের মধ্যে আলাপ হয়। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্কের পরিণিত হয়।
(২১/১০/১৮) বিকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় ধর্ষক বাদশা মিয়া মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে বাদশা মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাদশা মিয়া মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
উক্ত ৪ বছর ধরে বাদশা মিয়া মেয়েটির সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার জোর করে ধর্ষণ করে আসছে। এর মধ্যে ভুক্তভোগী বাদশা মিয়াকে বিয়ের কথা বললে, বিভিন্ন তালবাহানা করে এড়িয়ে যেত বাদশা মিয়া।
গত ( ৮/৩/২১ ) সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় বাদশা মিয়া ভুক্তভোগীকে জানিয়ে দেয় বিয়ে করতে পারবেনা। এমনকি অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
সাভার মডেল থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর ( তদন্ত ) সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছে।
ধর্ষক বাদশা মিয়াকে সাভার মডেল থানায় রাখা হয়। এবং এর সঙ্গে ভুক্তভোগীকে মেডিকেলের জন্য মহিলা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট করার পর অভিযুক্ত বাদশা মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান।
পুলিশ আরো জানায়-আসামী যেন সঠিক বিচার হয় সে দিকে কঠোর দৃষ্টি রাখবে।