দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণে জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্তের আলোকে জরুরী খাদ্যপন্য ও ঔষধের দোকান ছাড়া সব ধরণের দোকানপাট বন্ধের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এই আদেশ মোতাবেক সব ধরণের দোকানপাট বন্ধে মাঠ তদারকিতে নেমেছেন নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।
নাগরপুর উপজেলা প্রশাসনের সিন্ধান্তের আলোকে সরকারি আদেশ অমান্য করে দোকান খোলা রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখায় শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর বাজারে অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তারিন মসরুর।
অভিযানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তারিন মসরুর বলেন, সরকার বুধবার ভোর ছয়টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত বারোটা পর্যন্ত এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষনা করেছে। নাগরপুরে সঠিক ভাবে যেন লকডাউন পালিত হয় সেই উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও নাগরপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। বেশির ভাগ দোকানী সরকারের আদেশ মেনে চলছে। কিছু কিছু দোকানী আদেশ অম্যান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ও মাস্ক ব্যবহার না করায় তাদের কে জরিমানা করা হয়।
এসময় তিনি যেসব লোক অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বাজারে এসেছেন তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে দেন। এছাড়া যারা শ্রমের তাগিদে ঘর থেকে মাস্ক ছাড়া বের হয়েছেন তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। লকডাউন যথাযথ ভাবে মেনে চলতে সকলকে ঘরে থাকার আহবান জানান।
নাগরপুর উপজেলায় লকডাউনের বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধির উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় লকডাউনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ২২ জনকে “দণ্ডবিধি ১৮৬০” এর ১৮৮ ও ১৬৯ ধারায় সর্বমোট ৪৪০০/= টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা করেন নাগরপুর থানার এ.এস.আই আনিসুজ্জামান ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যগণ এবং উপজেলা ভূমি অফিসের স্টাফবৃন্দ।
পরপর ২ দিন করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০১ ছাড়িয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাহিরে বের হবেননা। জনস্বার্থে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলমান থাকবে।