শিরোনাম
মাদ্রাসা ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে আসামি রুমন গ্রেফতার। বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে দুই বাংলাদেশী যুবকক আটক। গার্ডকে মারতে এসে আইনজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা, ৫ জন গ্রেফতার। বৃষ্টিতে ‘বিদ্যুৎবিভ্রাট’রাণীশংকৈলে মোমবাতির আলোতে এসএসসি পরীক্ষা। ডিমলা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দুর্নীতির অভিযোগে বদলি। মাধবপুরে এসএসসি সমমান পরীক্ষার প্রথম দিনে ৩৫ জন অনুপস্থিত। কালিয়াকৈরে আগুনে পুড়ে গেল ৩ টি ঝুটের গোডাউন। গাঁজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে তাহিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। রায়পুরায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম। ইনডাকশান প্রশিক্ষণ ডিজি এ্যাওয়ার্ড পেলেন নাজমুল হক।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১২ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে স্বামীর টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সুন্দরী গৃহবধূ উধাও-ভোরের কণ্ঠ।

মোঃ সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি। / ৬৮৫ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের তারিখ ও সময় : শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতার ৪ নং ওয়ার্ডে আলী দরবেশ এর বাড়ীর সৌদি প্রবাসী আব্দুস সাত্তারের এর স্ত্রী সাবিনা আক্তার হ্যাপি নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।ঘটনার ২৫ দিন পরেও উদ্ধার হয়নি এই গৃহবধূ।

প্রবাসী আবদুস সাত্তারের মা শামসুন্নাহার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসের ২৬তারিখে, ৬ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তার ছেলে আব্দুস সাত্তার। বড় শখ করে বিয়ের দিনে দশ ভরি স্বর্ণালংকার দিয়ে নববধূকে ঘরে তুলে নেন তারা।

স্ত্রীর আচার-আচরণ অনেক সুন্দর দেখে তারা তাদের ব্যাংক একাউন্ট পর্যন্ত নববধূ সাবিনা আক্তার হ্যাপির নামে করেন। বিয়ের চার মাস পরেই আব্দুস সাত্তার জীবিকা নির্বাহের তাগিদে প্রবাসে পাড়ি জমান। এরই ফাঁকে তার অন্যান্য ছেলেরা ও প্রবাসে টাকাপয়সা যা পাঠিয়েছে সবগুলো পুত্রবধূর একাউন্টে জমা রাখতো। তাদের টাকা পয়সা দেখে সাবিনা আক্তার হ্যাপির পিতা কুয়েত যাওয়ার কথা বলে ছয় লক্ষ টাকা নগদে ধার নিয়েছেন।

স্ত্রীর ভালো আচরণ ও শ্বশুর-শাশুড়ির যত্ন দেখে সকলে তাকে এক চোখে বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে জানতো। শামসুন্নাহার ও কিছু স্বর্ণ অলংকার জমা রাখেন সাবিনা আক্তার হ্যাপির কাছে। তাদের বাড়ির জায়গা জমিনের কাগজ পত্র ও অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার কাছে জমা রেখেছিল।

অন্যদিকে সুন্দরি বধুর কথা শুনে সকল টাকা-পয়সা সাবিনা আক্তার হ্যাপর অ্যাকাউন্টে পাঠাতো। সুন্দরী বধু সাবিনা আক্তার হ্যাপির কথায় ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ১০ লক্ষ টাকার একটি বীমা করেন।

প্রবাসী আবদুস সাত্তারের পিতা সেকান্তর মিয়া অঝোরে চোখের পানি ফেলে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমরা সাবিনা আক্তার হ্যাপিকে নিজের মেয়ের চেয়েও বেশি ভেবেছিলাম। সে যে আমাদের সাথে এত বড় প্রতারণা করবে তা আমরা কল্পনাও করি নাই। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সর্বমোট স্বর্ণ অলংকার ও নগদ টাকাসহ ৩১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা স্টেটমেন্ট তুলে ধরেন। সম্পূর্ণ স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকার হিসাব রয়েছে তাদের হাতে।

ঘটনার সত্যতা জানতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা যায় সাবিনা আক্তার হ্যাপির বাড়িতে। সাবিনা আক্তার হ্যাপি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুরের ৭ নং ওয়ার্ড এর বাড়ী জবেদালি হাজীবাড়ি ওরফে (ছৈয়াল বাড়ী)র শাহজাহান ও রাশিদা খাতুন এর মেয়ে।

গণমাধ্যমকর্মীরা সাবিনা আক্তার হ্যাপিদের বাড়িতে গেলে সাবিনাকে খুঁজে না পেয়ে তার মা রাশিদা খাতুন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তাঁর মেয়ে কোথায় গেছে তিনি জানেন না। গণমাধ্যম কর্মীরা তাকে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, থানায় গিয়েছি অথচ আমাদের কোন অভিযোগ রায়পুর থানা পুলিশ নেয়নি। তাৎক্ষণিক গণমাধ্যমকর্মীরা থানায় ফোন দিলে রায়পুর থানার ওসি বলেন, এ ধরনের কোনো কিছু নিয়ে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগের জন্য আসেননি, আসলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতাম।

সাবিনা আক্তার হ্যাপির কয়েকজন প্রতিবেশীরা বলেন, সাবিনার মা রাশিদা আক্তার তাকে লুকিয়ে কোথাও রেখেছে। প্রতিবেশীরা আরো বলেন, আমাদের কোন মেয়ে হারানো গেলে আমরা কান্নাকাটি কিংবা বিমর্ষ অবস্থায় থাকতাম কিন্তু তাদের মধ্যে এই ধরনের কোন কিছু আমরা আজও দেখি নাই। প্রতিবেশীরা বলেন, আমরা সাবিনার মার চলাফেরা কথাবার্তা থেকে বুঝে নিয়েছি যে তার মেয়ের তার আশ্রয় আছে।

প্রবাসী আব্দুস সাত্তার মুঠোফোনে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সাবিনা আমার জীবন শেষ করে দিয়েছে। আমার অর্জিত যত সম্পত্তি আছে সবকিছু নিয়ে গেছে। আমি দেশবাসীর কাছে বিচার চাই। তাকে বিশ্বাস করা কি আমার অপরাধ ছিল? এভাবে আমার স্বর্ণালংকার ও ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে নিয়ে আমার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি সাবিনা আক্তার হ্যাপি কে খুঁজে দিতে পারবে আমি তাকে পুরস্কৃত করবো। এছাড়াও তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর