উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দুই দফা কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে সড়াতৈল, গজাইল, প্রতাপ বিনায়েকপুর, বয়ড়া, উধুনিয়া, কৈগাঁতী, চেংটিয়া, রহিমপুরগ্রামসহ অন্ততঃ ৩০টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
১১ এপ্রিল রবিবার বিকেলে ও রাতে প্রবল বেগে উত্তর থেকে উঠে আসা ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে গজাইল অনার্স কলেজের পুরাতন ভবন ও রহিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন। বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি।
ঝড়ের সাথে প্রবল শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার পঞ্চক্রোশী, উধুনিয়া, বড় পাঙ্গাশী,বাঙ্গালা ও রামকৃষ্ণপুর,ইউনিয়নের প্রায় ১১০ একর জমির উঠতি বোরো ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া ২০ বিঘা জমির পাট ও ১৫ বিঘা জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।
ঝড়ের সময় শরীরের উপর ঘর পড়ে গুরুতর আহত হন চেংটিয়া গ্রামের গৃহবধু জোবেদা খাতুন (৪২) এবং বয়ড়া গ্রামের তয়জল হোসেন (৫৫)।এদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উল্লাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
ভেঙ্গে গেছে কয়েক’শ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিদ্যুৎ লাইনের ১৬টি খুটি ভেঙ্গে গেছে। ছিঁড়ে গেছে ১২ কিঃমিঃ বৈদ্যুতিক তার।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার রমেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয় নিশ্চিত করে জানান, দুই দফা কালবৈশাখী ঝড়ে তার সমিতি এলাকায় ১’শ স্থানে ১২ কিঃমিঃ বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে গেছে। ১৬টি খুটি ভেঙ্গে গেছে।
ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। সোমবার সকাল থেকে ৬২টি কর্মীদল ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কাজ শুরু করেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন (সুমি)জানান,দুই দফা কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার প্রায় ১১০ একর জমির ইরি-বোরো ধান,২০ বিঘা জমির পাট ও ১৫ বিঘা জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।