লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় রিপা আক্তার (৩০)নামে এক প্রসূতির মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) সকালে এঘটনা ঘটে।ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মৃত ওই প্রসূতির স্বজনদের মাঝে দোষীদের বিচারের দাবিতে উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার একপর্যায়ে এ খবর দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ছুটে যান হাসাপাতালে।সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কর্তব্যরত নার্স ও চিকিৎসক আত্নগোপনে চলে যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,মৃত ওই প্রসূতি উপজেলার সোনাপুর ইউপির চরবগা গ্রামের ব্যবসায়ী ফারুক হোসেনের স্ত্রী রিপা আক্তার(৩০)।
গত বুধবার (৭এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে প্রসব ব্যাথা উঠলে হাসপাতালের নার্স ইয়াসমিনের করা হলুদ কার্ডের মাধ্যমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয় রিপা।পরে দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে ডাঃ শামিমা ও নার্স আরজু মিলে অপারেশন (সিজার) করে রিপার।অপারেশনে (সিজার) ওই রিপার ছেলে হয়।পরদিন অপারেশনের জায়গায় প্রচন্ড ব্যাথা উঠলে কর্তব্যরত নার্স স্যালাইন দেন।এতে হাসপাতালের প্লোরে লুটিয় পড়ে ওই প্রসূতি।লুটিয়ে পড়ার কয়ক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান ওই প্রসূতি।
সৌদি প্রবাস ফেরত ব্যাবসায়ী ওই প্রসূতির স্বামী ফারুক হোসেন জানান,বুধবার এক স্বজন এক ব্যাগ রক্ত দেওয়ায় সারাদিন ভালো ছিলো আমার স্ত্রী।বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তার না এসে নার্সকে দিয়ে স্যালাইন দেয়ার সাথে সাথে মাঠিতে লুটে পড়ে আমার স্ত্রী মারা যান।এব্যাপারে কাউকে না জানানোর জন্যে অনুরোধ করেন হাসপাতালের ডাক্তারা। আমি দোষীদের বিচার চাই।
এব্যাপারে মৃতের স্বজনদের দাবি,ভুল চিকিৎসায় রিপার মৃত্যু হয়।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসাপাতাল কতৃপক্ষ।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ শামিমা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, প্রসুতি কীভাবে মারা গেলে কিছুই বুঝতে পারছি না। সেজন্যে আর খোঁজ-খবর নেয়া হয়নি। যিনি ওই প্রসুতিকে দুই বাচ্চা থাকার পরও তৃতীয় বাচ্চা হওয়ার সময়ে সরকারি হলুদ কার্ড দিয়েছেন, তিনি অন্যায় করেছেন।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার জাকির হোসেন ভুল চিকিৎসার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘রোগীর হার্ট এটাক হওয়ায় সে মারা গেছেন। ওই ডাক্তারের কোনো অবহেলা ছিল না।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল জানান,হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে হাসাপাতাল কতৃপক্ষের কাছে ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা পায়নি।বরাবরই দায়সারাভাবে এরিয়ে যান হাসপাতাল কতৃপক্ষ।