করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও লকডাউন বাস্তবায়নে রাস্তায় নেমেছেন লক্ষ্মীপুরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও জনপ্রতিনিধি। সোমবার ( ৬ এপ্রিল) জেলা সদর ও রায়পুরসহ ৫ উপজেলা শহরের ট্রাফিক মোড়হ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ও মার্কেটে লিফলেট ও মাইকিং করে প্রচারণা চালিয়ে পথচারীদের মাস্ক পরিয়ে দেন তারা। এতে সরকারি নির্দেশনা না মানায় রায়পুরে ১০ মামলায় ১৬ হাজার ৩থশ টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ইউএনও সাবরীন চৌধুরী (ভ্রাম্যমান আদালত)।
পুলিশ ও প্রশাসন জানায়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। সে লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণ, লিফলেট বিতরণ, নিয়মিত মাইকিং ও বিভিন্ন স্থানে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। লক্ষ্মীপুরের সদর ও চন্দ্রগঞ্জসহ, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতি কাঁচা বাজারগুলো উন্মুক্ত এলাকায় স্থানান্তর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোনোভাবেই কোথাও যেন মানুষের গাদাগাদি জমায়েত না হয় সে লক্ষ্যে পুলিশ ও প্রশাসন কাজ করছে। লকডাউনে প্রত্যেকটি শপিংমল বন্ধ থাকবে। কেউ যদি সরকারি নির্দেশনা না মানে তাহলে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পথচারীসহ জনগণকে সচেতন করতে তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও লিফলেট বিতরণসহ স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে প্রচারণা অব্যাহত রাখা হবে।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার ডক্টর এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, সরকারি নির্দেশনা মানতে জনগণের জন্য পুলিশি প্রচারণা অব্যাহত থাকবে। লকডাউনে কাঁচাবাজার উন্মুক্ত স্থানে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এতে বাজারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সুবিধা হবে। গণপরিবহন যেন না চলতে পারে সে ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিপণী বিতানসহ শপিংমলগুলো বন্ধ থাকবে। কেউ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে, তাদেরকে তা মেনে চলতে পুলিশ কাজ করবে।
লক্ষ্মীপুর-জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন আকন্দ বলেন,-‘আমরাই পারি রুখতে, করোনা ইচ্ছা শক্তির প্রলয়ে, ঘরে ঘরে ফের দূর্গ গড়ি সচেতনতার বলয়েথ এ প্রত্যয়ে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।