কলাপাড়ায় ছোট ভাইয়ের বসতভিটার জমি দখলের উদ্দ্যেশে প্রায় শতাধিক বহিরাগত ভাড়াটিয়া দলবল নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বড় ভাই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে উপজেলার লালুয়ার ইউনিয়নের বানাতি বাজারের এ ঘটনায় কলাপড়া থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বড় ভাইয়ের মেয়ে জামাতা পুলিশ কর্মকর্তার হুমকিতে পরিবারের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ছোট ভাই। এদিকে বড় ভাইয়ের এমন কান্ডে হতবাক বনে গেছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীসহ ছোট ভাই নজির হাওলাদার জানান, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিবাজারে নজির হাওলাদারের দীর্ঘ বছরের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় বসত ভিটার জমি ইউপি সদস্য বড় ভাই মজিবর রহমান নিজের দাবী করে কয়েক দফা দখল চেস্টা চালিয়েছেন। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্রায় শতাধিক বহিরাগত নিয়ে দখলের উদ্দেশ্যে মাটি কাটতে থাকেন। এসময় নজির হাওলাদারসহ পরিবারের লোকজন বাঁধা দিতে গেলে তাদের প্রাননাশের হুমকী দেয়া হয়।
নজির হাওলাদার বলেন, জমি সংক্রান্ত বিারোধ নিয়ে পারবিারিকসহ স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েবার শালিশ বৈঠক হয়েছে। ৫ এপ্রিল এনিয়ে কলাপাড়া থানায় শালিশ বৈঠক রয়েছে। কিন্তু তা উপক্ষো করে অবৈধভাবে জমি দখলের পায়তারা করছেন বড় ভাই মজিবর মেম্বার। থানার শালিশ বৈঠক প্রভাবিত করাসহ অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দিচ্ছেন মজিবর মেম্বরের মেয়ে জামাতা যশোরে কর্মরত পুলিশের এসআই রেজাউল করিম।
লালুয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্চ মামুন জানান, স্থানীয়রাসহ তিনি নিজেও বাঁধা দিলে তা উপেক্ষা করে দলবল নিয়ে মাটি কাটতে থাকেন মজিবুর রহমান। সংবাদ পেয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এবিষয়ে কথা বলার জন্য মজিবুর রহমানের একাধিকবার ফোনে করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কলাপড়া থানার এসআই জিয়া বলেন, মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত তারিখে অপোষ মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে ডাকা হয়েছে।