উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ যৌতুকের দাবি পুরণ করতে না পারায় অকালে প্রাণ দিতে হলো গৃহবধু কলেজ ছাত্রী লিমা খাতুনকে (১৮)। স্বামী ও তার স্বজনেরা পিটিয়ে হত্যা করে তাকে। বুধবার সন্ধ্যায় উল্লাপাড়া উপজেলার চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। লিমা এই গ্রামের সবুজ আলীর স্ত্রী এবং স্থানীয় এইচ টি ইমাম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রী। তিনি একই উপজেলার চর সাতবাড়িয়া গ্রামের বকুল প্রামানিকের মেয়ে। মাত্র ৭ মাস আগে তার বিয়ে হয়।
লিমার বাবা বকুল প্রামানিক বৃহস্পতিবার উল্লাপাড়া থানায় দেওয়া খুনের মামলায় অভিযোগ করেন, বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং দেড় ভরি সোনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিয়ের দিন নগদ টাকা বর পক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হলেও পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে সোনার গহনা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কথা হয় কিছুদিন পরে গহনা পরিশোধের। এই গহনার জন্য বিয়ের পর থেকেই লিমার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ীসহ স্বজনরা তাকে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নিযার্তন করতো। এই ঘটনার জের ধরে বুধবার লিমাকে তার স্বামী ও স্বজনরা বেধড়ক মারপিট করে। এতে মৃত্যু হয় লিমার। পরে লিমার মৃত্যুকে অন্য খাতে নেওয়ার জন্য তার লাশ শোবার ঘরে ধরনায় কাপড় দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়। খবর পেয়ে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানার উপ পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকতার্ হাফিজুর রহমান জানান, মেয়ের বাবা বকুল হোসেন বাদি হয়ে লিমার স্বামী, শ্বশুর,শাশুড়ীসহ চারজনকে আসামি করে উল্লাপাড়া থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান আসামী স্বামীসহ পরিবারের সবাই বর্তমানে পলাতক রয়েছে। পুলিশ এদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।