বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের গুলিয়া কৃস্টপুর গ্রাম সংলগ্ন নাগর নদীতে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে মোঃ খোকন হোসের কিছু শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এবং ট্রাক দিয়ে সেসব বালু বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতি ট্রাক বালু ১ হাজার টাকায় বিক্রি করছে এবং মাটি বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শারমিন আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে লোক পাঠিয়ে ছিলাম, সে জানিয়েছে স্পটটি নন্দীগ্রাম থানার মধ্যে পরেনি বালু তোলার স্পটটি অন্য থানার আন্ডারে। উক্ত বিষয়ে উপজেলার ৪নং ভুমি অফিসের নায়েব মোঃ জমসেদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উক্ত স্পটটি অন্য থানার আন্ডারে পরেছে। শুধু নাগর নদীর বাধ নন্দীগ্রাম উপজেলার মধ্যে, নদী অন্য থানার আন্ডারে।
তবে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মুকুল হোসেন জানায়, উক্ত বালুর তোলার স্পট টি নন্দীগ্রাম থানার ভিতরে পরেছে যা কাগজপত্র ও নকশায় বিদ্যমান।
আরেক স্থানীয় ব্যাক্তি ভুট্টু মিয়া জানান, আমাদের জন্ম থেকে দেখে আসছি জায়গাটি নন্দীগ্রাম সীমানার মধ্যে।
২টি থানার মাঝামাঝি জায়গা হওয়ায় কিছু বিশেষ ব্যাক্তির সহযোগীতায় সবার চোখে ধুলা দিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এই সিন্ডিকেট। বিষযটি নিয়ে সরাসরি উপজেলাপ নির্বাহী কর্মকর্তার সরেজমিনে পরিদর্শন ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকা বাসী।