শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ অপরাহ্ন

বাগাতিপাড়ায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে মুরগীর খামার অপসারণের নির্দেশ-ভোরের কণ্ঠ। 

মোঃ ফজলুর রহমান বাগাতিপাড়া(নাটোর)প্রতিনিধি / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২১

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বসতিপূর্ণ এলাকায় লেয়ার মুরগীর খামার স্থাপন করে দীর্ঘদিন যাবত মুরগী পালন করে আসছিলেন বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের ঘোষপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারী মিয়ার ছেলে সুলতান আলী।

জনবসতিপূর্ণ এলাকায় খামার স্থাপন করে হাজার হাজার মুরগীর বর্জ্য পার্শ্ববর্তী জমিতে ও পুকুরে প্রবাহিত করায় প্রতিবেশী ছানাউল্লাহ প্রতিকার চেয়ে গত বছর ৯জুন তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ও বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়, জেলা প্রশাসক নাটোর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রেস ক্লাব বরাবর তদন্তপূর্ভক ব্যভস্থা গ্রহণে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণে গেলে তাদের লাঞ্চিত করেছিলেন খামার মালিক সুলতান আলী।

পরে অভিযোগটি আমলে নিয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী উল্লেখিত অভিযোগটির তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ২৩জুন তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল সুলতান আলীকে ওই খামার অপসারণের জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দেন।কিন্তু খামার মালিক তাতে কোন ভরুক্ষেপ না করে আগের অবস্থাতেই থাকেন।

খামারের বর্জ্যর দূর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে ভুক্তভোগী ছানাউল্লাহ আবারো প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে উপজেলা প্রশাসন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে তদন্তভার দেন। দ্বিতীয় বারেরমতো অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় গত ২৫ জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল সুলতান আলীকে ওই খামার অপসারণের জন্য তিন দিনের সময় বেঁধে দিলেও অদ্যবদি পর্যন্ত তিনি খামার অপসারণ করেননি।


কেন বারংবার উপজেলা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে মুরগীর খামারের বর্জ্য ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে মুঠো ফোনে এমন প্রশ্ন করা হলেও খামার মালিক সুলতান আলী কোন মতামত না দিয়ে বলেন, আমি খুব টেনশানে আছি এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছিনা।

মুরগীর খামারের বর্জ্যে পরিবেশ নষ্ট হওয়ার প্রতিকার ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন চেয়ে লিখিত আবেদনকারী নিকটতম প্রতিবেশী ও জামনগর ডিগ্রী কলেজের সাবেক প্রভাষক ছানাউল্লাহ দাবি করেন, ‘ওই খামারের বর্জ্যে আমরা সহ স্থানীয়রা অতিষ্ট। জমি ও পুকুরে বর্জ্য ফেলার কারণে পানি ও অতিমাত্রায় পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন পরপর দুইবার তার ওই অবৈধ মুরগীর খামার অপসারণের নির্দেশ দিলেও তিনি তা অমান্য করছেন। বরং আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে খুন-জখমের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি নিরাপত্তা চেয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। তাতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়। আমি বর্তমানে নিরাপত্তা হিনতায় ভূগছি।’
পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পেতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আইনের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি করেছেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর