বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শিবগঞ্জের আমতলী জয়পুরহাট আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি বগুড়ার শিবগঞ্জের কিচক ইউনিয়নের বেলতলী আবাসিক হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর লাশ গাংনাই নদী থেকে উদ্ধার করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে নদীতে ফেলা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মক্তব বিভাগের ছাত্র স্বাধীন (৭) মাদ্রাসায় আবাসিক হিসেবে লেখাপড়া করেন। এরপর ১৬ জানুয়ারি রাতে মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হয়। পরের দিন সকালে স্থানীয় লোকজন বেলতলি ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পার্শ্বে গাংনাই নদীর তীরে স্বাধীনের নিথর মরদেহ দেখতে পায়। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক সহকারী পুলিশ সুপার শিবগঞ্জ সার্কেল আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী ও থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। নিহত স্বাধীন উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড পূর্বজাহাঙ্গীরাবাদ আমতলী মাঝপাড়া গ্রামের শাহ আলমের পুত্র। এব্যাপারে মাদ্রাসার মুহতামিম শহিদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীন গতকাল সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হয়। সকালে তার লাশ মাদ্রাসার পার্শ্বে গাংনাই নদীর তীরে পাওয়া যায়। এব্যাপারে নিহতের চাচা মইনুল হক বলেন, স্বাধীন নিখোঁজ রয়েছে বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানাইনি। শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, মাদ্রাসার ছাত্র স্বাধীনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মাদ্রাসা ছাত্র স্বাধীন শেখ গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হলেও কেনো মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাঁর পরিবারকে জানালো না? এমন প্রশ্ন মাববন্ধনে সমাবেত হাজারো মানুষের মুখে মুখে। অথচ ১৭ জানুয়ারি তার নিথর মরদেহ মিলল নদীর কিনারায়। নিহতের পিতা শাহ আলম শেখ জানান, আমার ছেলে ১৬ জানুয়ারি রাতে মাদ্রাসাতে নেই তাঁর সহপাঠীরা মাদ্রাসার শিক্ষকে বললে তাঁরা উল্টো ধমক দেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা বিক্ষোভ সমাবেশকারীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁসিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, নিহতের বাবা শাহ আলম ও তাঁর মা, নানা’ সহ উপজেলার আওয়ামী যুবলীগের নেতা শহিদুল ইসলাম শহিদ, শেখ কবির বকুল, বকুল মন্ডল আহম্মদ আলি, মিজানুর রহমান,আঃ হান্নান,মেহেদুল ইসলাম, হাকিম, হাকিম,দুলা প্রধান, মানিক রিলংকু, আঃ মান্নান, টুটুল প্রমূখসহ এলাকার হাজারো নারী-পুরুষ।