সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার পল্লীতে কৃষি ফসলের সাথে বানিজ্যিক ভাবে বরই চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন কৃষক আলহাজ মোঃ ফসিয়ার রহমান। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে নিজের বসত ভিটা ৫বার স্থানান্তর করে ও যখন শেষ রক্ষা হল না তখন প্রতিবেশীদের সংগে তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে ১২বিঘা জমি কিনে বসতি স্থাপন করেন। ৬বিঘা জমিতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করেন এবং পুকুরের পারে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন সবজি যেমন বেগুন, মুলা, মরিচ, গাজর , শীম ও কলা বাগান। অন্য জমিতে করেন ধানের আবাদ।
তিনি সবজির ফাকে ফাকে ২শ আপেল কুল ও কাশ্মেরী কুলের চারা রোপন করেন এক বছর পর্বে। চলতি বছর ২শ টি বরই গাছেই পযার্প্ত বরই ধরেছে। তার ওই বাগান বাড়ীতে সার্বিক সহযোগীতা করে থাকেন তার বড় ছেলে মোঃ ওমর ফারুক।
সরেজমিনে বাগান বাড়ী গিয়ে কথা হয় বাগানের মালিক ফসিয়ার রহমানের সংগে, তিনি জানান, পুকুরের পার জমি থেকে উচু হবার কারনে বন্যায় পানি উঠে না । আমি ওই সময়ে বেগুন,মুলা,ও মরিচের আবাদ করেছিলাম বর্ষা মৌসুমে তরি তরকারীর প্রচুর দাম থাকায় প্রায় ১লাখ টাকার বেগুন ও ২০ হাজার টাকার অন্যান্য সবজি বিক্রি করেছি। তিনি আর ও বলেন, বরই গাছে বরই তোলা শুরু হয়েছে ১ সপ্তাহ পুর্বে। এ ( গত মঙ্গলবার)পর্যন্ত ১লাখ টাকার উপরে বিক্রি করা হয়েছে। তার ধারনা ওই গাছ থেকে আর ও ৪ লাখ টাকার বরই বিক্রি হবে। প্রতি মন বরই বগুড়ার আড়তে ২৪শ থেকে ২৫শ টাকা মন দরে বিক্রি হয়। ওই বাগানে বরই তোলার কাজে নিয়োজিত আদিবাসী নারী সুখী রানী বলেন, আমি এখানে বরই ও তরীতরকারী তোলার কাজ করি । বয়স হয়েছে অন্যকাজ করতে পারিনা। হাজী সাহেব আমাদের প্রতিদিন ২শ টাকা মজুরীদেন। ওই বাগানে ১ জন পাহারাদার ও ২জন নারী শ্রমিক কাজ করেন । পাহারাদার খামারের ১১টি গরু দেখা শোনার কাজ ও করেন। খামারে সব খরচবাদে বছরে ৫ লাখ টাকা আয় হবে তাতে সন্দেহ নেই।
আলহাজ ফসিয়ার রহমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষিত ছেলেরা (যাদের জায়গা জমি আছে) তারা চাকুরীর পিছনে না ছুটে যদি তাদের মেধা ও শ্রম কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে বানিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন শুরু করে সে নিজে যেমন সফল হবে তেমনি অন্যদের জন্য কর্মের ও ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে।