কৃষি আবাদি জমি বৃদ্ধি ও কৃষি ফসল বৃদ্ধির লক্ষে অনাবাদি, জলাবদ্ধতায় কবলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে থাকা জমি উদ্ধারে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা প্রশাসন।
তারই ধারাবাহিকতায় কাজিপুর উপজেলার কাচিহারা মৌজার ও লক্ষিপুর গ্রামের প্রায় ১৫’শ বিঘা ফসলি জমি জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সিরাজগঞ্জ-১, কাজিপুর সাংসদ প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি অংশ হিসাবে উপজেলার প্রশাসনের একান্ত প্রচেষ্টায় এ পদক্ষেপ সফল হতে যাচ্ছে।
উপজেলার কাচিহারা,লক্ষিপুর বিলে সরকারি হালট বন্ধ করে দিয়ে জমি তৈরী করে কতিপয় লোক চাষাবাদ করায় পানি নিশ্কাসন না হওয়ায় প্রায় ২ যুগ ধরে প্রায় ১৫’শ বিঘা জমি জলাবদ্ধতা কবলে পরে।
সেই জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধানে লক্ষ্যে লক্ষিপুর গ্রামের চালিতাডাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক, মেঘাই ই.ইউ.আই উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল বাকি, কাচিহারা গ্রামের শাহাদৎ হোসেন (সুজন) ও আব্দুস সালাম মাষ্টার প্রথমে উদ্যোগ নেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ, এম.পি মহোদয় ও উপজেলা চেয়াম্যানের সহযোগীতা কামনা করেন। তাদের যৌথ প্রচেষ্টায় উক্ত জলাবদ্ধতার শুরু হয়েছে মাটি খননের কাজ।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এই খনন কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম শাহা আলম মোল্লা, স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ১৫’শ বিঘা ফসলি জমি বছরের ৯ মাস জলাবদ্ধ হয়ে থাকত। এতে করে একসময়ের তিন ফসলি জমির মালিক কৃষকদের বছরে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ক্ষতি হতো। এই জলাবদ্ধতা নিরাসন হলে উপজেলার লক্ষিপুর, কাচিহারা, হাটশিরা, হাজরাহাটি ও মাথাইচাপড় গ্রামের কিছু অংশ তিন ফসলি জমির ফসল উৎপাদনের সুবিধা পাবে।