সিরাজগঞ্জের তাড়াশে প্রতারনা চক্রকে আটক করে থানায় মামলা করা হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এই প্রতারনার চক্রকে আটক করা হয়। আটককৃত মহিলা উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুস খালেকের স্ত্রী শিউলি খাতুন (৪০)।
জানা যায় অনেক দিন যাবত এই চক্র মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে সরকারী বরাদ্দকৃত টাকা তুলে নিজেদের পকেট ভারী করছে। উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সামাদ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আর্থিক সহয়তার জন্য আবেদন দিলে কর্তৃপক্ষ তার আবেদন মুঞ্জুর করে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন।
কিন্তু ভাগ্যের নিয়তি সে টাকা তোলার আগেই মারা যান। বিধি বিধান অনুযারী সে মারা যাওয়ায় তার ওয়ারীশ গন এই টাকার মালিক হন।
বাবা মারা যাওয়ায় তারা খোঁজ খবর না নিলে এই দালাল চক্রের হোতা সিরাজগঞ্জ নিবাসী জুয়েল তার ছেলে আমিনুল ইসলামের কাছে যোগাযোগ করে কাগজ পত্র সংগ্রহ করে ভাড়াকৃত মহিলা দ্বারা সমাজসেবা কার্যালয়ে আমিনুলের নিজের বোন বলে পরিচয় দিয়ে কাগজ জমা দিতে বলেন। ব্যাংক হিসাবের রশিদে মোবাইল নং প্রয়োজন হলে দালাল চক্রের হোতা জুয়েলের নম্বর দেন। জমাদানকারী মহিলার কার্যকলাপে গড় মিল হওয়ায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চক্রান্ত ধরা পরে যায়।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিমকে বিষয়টি জানালে তিনি থানাতে ফোন দিয়ে চক্রান্তকারী মহিলাকে আটক করতে বলেন।
এই বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার একেএম মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলার তাড়াশ সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুস সামাদ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আর্থিক সহয়তার জন্য আবেদন দিলে তাকে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু সে মারা যাওয়ায় তার ওয়ারীশগন এই টাকা তুলতে পারবে বলে কাগজপত্র চাওয়ায় হয়। আটককৃত মহিলা কাগজ পত্র জমা দিতে আসলে তার পরিচয় জানতে চাই। বার বার ভিন্ন ভিন্ন পরিচয় দিতে থাকলে ইউপি সদস্যকে ডেকে আনা হয়। তিনি অস্বীকার করলে সন্দেহ হয়। পরে ইউএসও স্যারের কাছে গেলে তিনি প্রতারনার দায়ে শিউলি খাতুনকে পুলিশে সোপার্দ করেন।
এ ব্যাপারে তাড়াশ থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলে আশিক বলেন, প্রতারনার চক্রকারী মহিলার নামে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে