সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে স্থানীয় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী ফারুক হাসান কাহার তার ফেসবুকে সোনাবানের জন্য কেউ একটি লেপ দিবেন এমন স্ট্যাটাস দিলে বিষারয়টি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার নজরে আসে। তিনি সোনাবানের সার্বিক খোজ নিয়ে তাকে জানাতে বলে কমেন্টস করেন।
বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার বাড়াবিল মধ্যপাড়া প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতার পক্ষ থেকে সাংবাদিক ফারুক হাসান কাহার ও মনিরুল গনি চৌধুরী শুভ্র লেপ, তোষক, চাদর, সোয়েটার, স্যান্ডেল, মোজা, চাল, ডাল, তেল, লবন, আপেল, কমলা, আঙ্গুর, ডালিম, ও নগদ অর্থ সোনাবানের কাছে তুলে দেন। তিনি গত রমজান মাসে ও করোনার শুরুতেও খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী মো. আলতাফ হোসেন, বরাত আলী সুমন, নাজমুল, আরিফ, রাসেল, হাসান, হাসেম প্রমুখ।
প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা বলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনাই আমাদের মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়েছেন। সোনাবান যতদিন বেচে থাকবে আমি তার পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।
২০ বছর আগে স্বামী মারা যায় সোনাবান খাতুন ডুকলির। অন্যের বাড়িতে কাজ করে পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলেকে বড় করেছেন। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। ছেলে তাঁত শ্রমিক বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে থাকে। মায়ের কোনো খোঁজ নেয় না ছেলে।স্বামী মারা যাওয়ার পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকার বাড়াবিল মধ্যপাড়া ভাইয়ের বাড়িতে একটি কুড়ে ঘরে বসবাস করছেন সোনাবান।
সোনাবানের স্বামী মো. আয়নাল পেশায় ছিলেন তাঁত শ্রমিক। টিভি রোগে তিনি ২০ বছর আগে মারা যান। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে সোনাবানের কষ্টের জীবন।স্বামীর মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে সোনাবান আশ্রয় নেন ভাইয়ের বাড়িতে । সেখানেই ছোট্ট একটি কুড়ে ঘরে তার বসবাস।