যশোরের বেনাপোলে এক অসহায় লিলি দেলোয়ার দম্পতির নিরাপত্তা হীনতায় প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন । রবিবার (১৭ই জানুয়ারী ) বিকাল ৪ টার সময় বেনাপোল বাজারস্থ একতা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন দেলোয়ার লিলি দম্পত্তির।
উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, বিগত ১১ বছর পূর্বে মোঃ আব্দুর রবের নিকট থেকে বেনাপোল বাজারস্থ জাহিদুল বিশ্বাসের মার্কেটের পশ্চিম পাশে ভাই ভাই হোটেলের উপর নিচ অথাৎ দ্বিতল ভবন যাহার এস এ খতিয়ান ৪৬১,হাল খতিয়ান ৯৬ মৌজা ভবারবেড়, চুড়ান্ত দাগ ৬১,৬২ বাস্ত জমির পরিমান ১.৫০ শতক ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় করে ভোগদখল ও বসবাস করে আসছি। আমার একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়ে শুধু মাত্র আমরা দুজন মিলে আমার বাড়িতে বসবাস করছি।
গত ২১/১০/২০২০ইং তারিখে রাসেল পিতাঃ কবির, রুবেল পিতাঃ আঃ মুজিদ আনুমানিক সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় আমার বাড়িতে প্রবেশ করে আমার স্বামী দেলোয়ারের নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আমি উক্ত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করিলে আমাদের প্রকাশ্যে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে যায়। এবং একই দিন সন্ধ্যা ৮ টার সময় সংঘবদ্ধ দলবল নিয়ে আমার সিড়ির সামনে থাকা পানির মটর, টিউবওয়েল, ভাংচুর করে এবং আমার যাতায়াতের রাস্তা ইট দিয়ে প্রাচীর দিয়ে বন্ধ করে দিতে চাইলে আমি দৌড়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করি উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে উক্ত দখল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে উক্ত জমির ওপর বিজ্ঞ আদালতে সি আর মামলা নং ৩৫/২০ তারিখ ১৭/০৮/২০ইং ধারা ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ পেনাল কোড ও ফৌজদারী ১৪৪ ধারা জারি আছে। এছাড়াও ০৬/০১/২০২১ইং তারিখে মোঃ রাসেল, পিতাঃ মৃত কবির ১০ ঘটিকার সময় লোহার রড় দিয়ে দুই তলার ওঠানামার সিঁড়ির দরজা ভেঙ্গে ফেলে, বিধায় আমি মোছাঃ লিলি বেগম বিজ্ঞ আদালতে গিয়ে একটি মামলা দায়ের করি যাহা আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে। এরই জের ধরে গত ১০/০১/২০২০ইং তারিখে মোঃ রাসেল,পিতাঃ মৃত কবির, মোঃরুবেল,পিতাঃ আঃ মুজিত একই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ব্যাক্তি ২.৩০ মিনিটে আমার বসত বাড়িতে আসিয়া আমার এবং আমার স্বামীকে মারধর করে আমার ঘরের আলমারির ড্রয়ারে থাকা ১ লক্ষ টাকা ও আমার ব্যাবহারিত ৫ ভরি সোনার গয়না ভাংচুর করে লইয়া যায়। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে আমার স্বামী আমাকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
আমি চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গকে জানাইলে তাহারা আদলতের মাধ্যমে প্রতিকার পাইবার উপদেশ দেন। ফলে আমি বিজ্ঞ সিনিঃ জুডিঃ মেজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দ্বায়ের করি ধারাঃ ৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/৩৭৯/১০৯ ধারা দঃ বিঃ। লিলি বেগম সংবাদিকদের বলেন বর্তমানে আমি এবং আমার স্বামী খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি যেকোনো সময় আমাদের উপর আবারও হামলা হতে পারে।
তাই আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ আমাদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিবাদী রাসেলের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয়ে সংযোগ কেটে দেন তিনি। সাথে সাথে সামাজিকভাবে ভালো পরিবেশে বসবাসের জন্য প্রসাশনের নিকট সু বিচার দাবী জানিয়েছেন দলোয়ার লিলি দম্পত্তি।