সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মৌ-মাছির খামারিরা মধু বিক্রি করে লাভবান। ঋতুর পালা বদলে শীতের আগমণী বার্তায় চলনবিলের তাড়াশে মাঠে মাঠে এখন সৌন্দযর্য মন্ডিত হলুদ সরিষার ফুল।
গ্রামের দিগন্ত মাঠ সেজেছে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহে। এ মৌসুমে দেশে বিভিন্ন স্থান থেকে মৌ-চাষীরা এসেছে মধু সংগ্রহে।
এ বছর তাড়াশে প্রায় ১’শ মৌ-চাষী শত শত মৌ-বক্স নিয়ে চলনবিল এলাকায় এসেছেন মধু সংগ্রহের জন্য । সরিষার ক্ষেতে পাশে স্থাপন করেছে এই মৌ-বক্স গুলো। প্রতিটি বক্স থেকে সপ্তাহে ৬ থেকে ৭ কেজি করে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর সপ্তাহ শেষে ঢাকা থেকে মধু সংগ্রহ কোম্পানীর বিভিন্ন লোকজন এসে প্রতি মন মধু ৫হাজার থেকে ৫৫ শ” টাকা করে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
এ বছর তাড়াশ উপজেলায় ৬ হাজার ১ শত ১০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। কৃষি অধিদফতর ধারনা করছে এ উপজেলার মাঠ থেকে এ বছর ২০ থেকে ২৬ টন মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে ।
নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থেকে আসা সরকার মৌ-খামারের প্রোপাইটার মিলন সরকার জানান, আমরা প্রতি বছর এ সময় তাড়াশে মধু সংগ্রহ করতে আসি । আমার খামারে ১৫০ টি মৌ-বক্স আছে। প্রতিটি বক্স থেকে সপ্তাহে ৬ থেকে ৭ কেজি করে মধু সংগ্রহ করতে পারি।
কোম্পানির লোক এসে প্রতি মন মধু ৫ হাজার থেকে ৫৫ শ” টাকা করে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও স্থানীয় লোকজন খাঁটি মধু ক্রয় করছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সরিষা ও মৌ-চাষে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আশা করছি এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় ২০ থেকে ২৫ মেট্রিক টন মধু সংগ্রহ হবে ।